বর্ধমান, চামারদিঘি:
স্বল্প খরচে উদ্ভিদজাত খাবারের মাধ্যমে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ এবং অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভার আয়োজন করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল — সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে গৃহবধূদের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানো।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বহু গৃহবধূ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ নাজমা পারভিন।
তিনি বলেন,
“একজন গৃহিণী যদি পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে একটি পরিবারের সার্বিক খাদ্যাভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”
তিনি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস, শিশুদের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য, এবং বয়স্কদের জন্য সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে কুশল ভকত জানান,
“এই আলোচনাসভায় আমরা তুলে ধরেছি কীভাবে কম খরচে তৈরি খাবারেও পুষ্টির জোগান সম্ভব এবং কীভাবে আমাদের অজান্তে আমরা প্রতিদিন অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে ফেলছি।”
সভায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে দেওয়া হয় খাবারের তালিকা ও সচেতনতামূলক লিফলেট, যা ভবিষ্যতে তাদের খাদ্যাভ্যাসে সহায়তা করবে।
পুষ্টির সচেতনতা মানেই সুস্থ পরিবার
এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাবারের গুণমান, বাজারে প্রচলিত খাদ্য প্রক্রিয়া এবং বিকল্প ঘরোয়া খাদ্যের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়।
📍 সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরণের কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়।