নিজস্ব সংবাদদাতা – স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম জনগণনা হতে চলেছে পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে। রেজিস্ট্রার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ জানিয়েছেন, আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে শুরু হবে হাউস-লিস্টিং অপারেশন এবং হাউজিং সেনসাস, যা হবে এই বৃহৎ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।
এই পর্বে প্রতিটি বাড়ির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য যেমন দেওয়াল, ছাদ, মেঝে, ঘরের সংখ্যা ছাড়াও, ইন্টারনেট, যানবাহন, রান্নার জ্বালানি, পানীয়জল ও শৌচাগারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এমনকি পরিবারের প্রধান নারী কিনা, তিনি তপশিলি জাতি/উপজাতিভুক্ত কিনা, এমন প্রশ্নও থাকবে।
জনগণনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এতে প্রতিটি নাগরিকের জন্মতারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম, ভাষা, শিক্ষা, পেশা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বরফাবৃত অঞ্চলগুলির জন্য থাকবে বিশেষ সময়সূচী।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন—এই জনগণনা হবে প্রযুক্তিনির্ভর। একদিকে থাকবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, অন্যদিকে নাগরিকদের জন্য থাকবে স্ব-গণনার সুবিধা। এটি প্রচলিত কাগজ-কলম নির্ভর পদ্ধতি থেকে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
গণনার নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এর পরে প্রশাসনিক সীমানায় কোনো পরিবর্তন না আনা হয়।
দেশজুড়ে এই প্রকল্প সফলভাবে পরিচালনা করতে নিয়োগ করা হবে প্রায় ৩৫ লক্ষ গণনা ও তদারকি কর্মী। এটি হবে ভারতের ১৬তম ও স্বাধীনতার পর অষ্টম জনগণনা।