✍️ প্রতিবেদক: নিজস্ব সংবাদদাতা
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ-সহ সাতটি রাজ্যকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে—মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডকে একীভূত করার জন্য। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ফেল করার হার বাড়ছে, তাই সিলেবাসে সমতা আনার জন্য একটি একক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজন। তবে এই যুক্তিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, প্রশ্ন উঠেছে প্রস্তাবের বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে।
📊 পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যই প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় যুক্তিকে
পশ্চিমবঙ্গে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯০.৭৯%, যা CBSE-র দ্বাদশ শ্রেণির পাশের হার ৮৯.১৬%-এর চেয়েও বেশি। তাহলে ফেল বাড়ছে—এই যুক্তির ভিত্তিই বা কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, রাজ্যভিত্তিক সাফল্যের ধরণ আলাদা, সেক্ষেত্রে এক ছাঁচে সব রাজ্যকে মাপা যুক্তিসঙ্গত নয়।
🧭 অসমের দৃষ্টান্তে কতটা মিল?
কেন্দ্রের তরফে অসমের উদাহরণ টানা হলেও বাস্তবে সেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এবং চ্যালেঞ্জগুলি পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেকটাই আলাদা। ফলে সেই মডেলকে সবার উপরে চাপিয়ে দেওয়া কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
🏛️ প্রস্তাব এলেও ‘প্রাপ্তি’ হয়নি রাজ্যে!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব প্রস্তাব পাঠানোর কথা বললেও, রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব এখনও হাতে পায়নি। এতে প্রস্তাবের স্বচ্ছতা এবং বাস্তবিক প্রয়োগের দিক নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে।
⚖️ রাজ্যের স্পষ্ট বার্তা: চাপিয়ে নয়, আলোচনা ও যুক্তি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় চাপ বা একতরফা নীতির সঙ্গে তারা একমত নন। রাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা এই বোর্ড সংযুক্তিকরণের প্রস্তাবকে শিক্ষার উপর কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।