📍 নিজস্ব সংবাদদাতা:
মাত্র ১৬ মাস বয়সেই বিরল এবং প্রাণঘাতী রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA টাইপ-১)-তে আক্রান্ত হয় রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা দাস। চিকিৎসার একমাত্র উপায় ছিল বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল জেন থেরাপি ওষুধ ‘জোলজেনস্মা’ (Zolgensma), যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এ এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে অস্মিকার বাবা-মার আকুল আবেদন এবং মানুষের সহানুভূতিকে সঙ্গী করে শুরু হয় এক অসাধারণ লড়াই—ক্রাউড ফান্ডিং। ‘ইমপ্যাক্টগুরু’-সহ একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সাত মাস ধরে চলে ফান্ড রেইজিং। সাড়া দেন হাজারো সাধারণ মানুষ, বহু সেলেব্রিটি ও সংস্থা। সংগ্রহ হয় প্রায় ৯ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মূল্য কিছুটা হ্রাস করে সহানুভূতির নজির স্থাপন করে।
অবশেষে ১৮ জুন, কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে অস্মিকার শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয় ওষুধটি।
চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা দে জানান, এই জেন থেরাপি শিশুর দেহের জিনগত ত্রুটি সংশোধন করে, যাতে সে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরতে পারে। সময়মতো ইনজেকশন দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি, তাতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
বর্তমানে অস্মিকা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা যেমন চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির বার্তা দেয়, তেমনি মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস যে এক শিশুর জীবন রক্ষা করতে পারে—সেটাই মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে থাকল।