✍️ নিজস্ব প্রতিবেদন
একটি সন্তানের আশায় কেটে গেল দুই দশক। নিউইয়র্কের এক দম্পতির জীবনে ২০ বছর ধরে চলেছে অন্তহীন লড়াই—১৫ বার আইভিএফ-এর প্রচেষ্টা, বিশ্বের নানা প্রান্তে চিকিৎসা, এবং অন্তহীন অর্থব্যয়। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থতার মুখে পড়তে হয়েছে। তখনই নতুন আশার আলো হয়ে সামনে আসে প্রযুক্তির চমকপ্রদ এক আবিষ্কার—STAR প্রযুক্তি।
STAR প্রযুক্তি: আশার এক নতুন দিগন্ত
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি-র গবেষকদের তৈরি এই STAR (Sperm Tracking and Retrieval) প্রযুক্তি একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত টুল, যা পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় এক বিপ্লব এনেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেহে সক্রিয় শুক্রাণু থাকলেও তা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না প্রচলিত পদ্ধতিতে। STAR প্রযুক্তি সেই অদৃশ্য শুক্রাণুগুলিকে খুঁজে বের করতে সক্ষম।
এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয় হাই-স্পিড ক্যামেরা ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম, যা স্পার্মের ক্ষুদ্রতম গতিবিধিও চিহ্নিত করতে পারে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ৪৪টি জীবিত শুক্রাণু শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যা দীর্ঘ চিকিৎসা পর্বের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
শেষে সেই কাঙ্ক্ষিত খবর
দম্পতির জন্য সেই দিনটি আসে মার্চ ২০২৫-এ। সফলভাবে সম্পন্ন হয় আইভিএফ প্রক্রিয়া। এখন তাঁরা প্রতীক্ষায় রয়েছেন তাঁদের প্রথম সন্তানের আগমনের—ভীষণ আবেগ ও কৃতজ্ঞতায় ভরা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
প্রযুক্তি বনাম মানবতা: কার জয়?
এই কাহিনি শুধু প্রযুক্তির জয়গাথা নয়, এটি একজন মায়ের আশা, একজন বাবার দৃঢ়তা এবং ভালোবাসার এক অপার প্রতিচ্ছবি। যখন বিজ্ঞান ও মানবতা একসঙ্গে হাঁটে, তখনই এমন অলৌকিক ঘটনাগুলোর জন্ম হয়।