✍️ নিজস্ব প্রতিবেদন
বর্ষা নামলেই মনে পড়ে ছাতা, কাদামাটি আর এক থালা গরম ভাতের পাশে ঝোলে-ঝালে ইলিশ মাছ। বাঙালির খাদ্য-সংস্কৃতিতে ইলিশ যেন এক চিরন্তন প্রেমের নাম। যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইলিশ শুধুমাত্র খাবার নয়, আবেগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
স্বাদের রাজা: রূপে-রাঁধুনিতে অনন্য
ইলিশের স্বাদ এমনই যে তার সামনে দাঁড়ালে অন্য কোনও মাছের আর দম্ভ থাকে না। পাতুরি, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ কিংবা কালো জিরে দিয়ে পাতলা ঝোল—সবেতেই ইলিশ তার নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধ দিয়ে মন জয় করে নেয়। আধুনিক ফিউশন রান্নাতেও পিছিয়ে নেই এই মাছ। আজকাল রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ মোমো, এমনকি ইলিশ পাস্তার মতো অভিনব পদ।
স্বাস্থ্যের সাথী: শুধু স্বাদে নয়, উপকারেও
ইলিশের অন্যতম গুণ হল এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত ইলিশ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং ত্বক রক্ষা পায় অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। শিশুর হাঁপানি থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগ—সব ক্ষেত্রেই ইলিশ কার্যকর হতে পারে।
ইলিশ মানেই বর্ষার উৎসব
বর্ষার প্রতিটি দিন যেন বাঙালির কাছে একেকটা ইলিশ-পর্ব। মাছ বাজারে ইলিশ দেখা মানেই চোখে মুখে হাসি, আর বাড়িতে ইলিশ রান্না মানেই পরিবারের খুশির উৎসব। অনেকেই তো বছরের এই সময়টাই অপেক্ষায় থাকেন ইলিশের স্বাদ নেওয়ার জন্য।
শেষ কথা
ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, বর্ষার অনুভব। স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি আর স্বাস্থ্য—সব মিলিয়ে ইলিশ যেন বাঙালির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য রুপোলি সঙ্গী। তাই এই বর্ষায় ইলিশ থাকুক প্রতিটি বাঙালির পাতে, প্রাণে আর গল্পে।