নিজস্ব সংবাদদাতা
বিশ্ব রাজনীতির নজর এখন একেবারে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মাটি ঘিরে। ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের সম্ভাব্য বিস্তার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত তিনদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন ঘাঁটিতে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৭টি KC-135 ট্যাঙ্কার বিমান — এরা মূলত যুদ্ধবিমানে আকাশে জ্বালানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ট্যাঙ্কার বিমানের সরণ অস্বাভাবিক এবং একে যুদ্ধের পূর্বাভাস হিসেবেই দেখা হচ্ছে। FlightRadar24-এর রাডারে এই বিমানগুলোর স্পেন, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মার্কিন ঘাঁটিতে অবতরণের তথ্য ধরা পড়েছে।
এই চলমান উত্তেজনার মাঝে হোয়াইট হাউসে একটি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (প্রাক্তন)। বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প এবং ইজরায়েলের সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানকে ঠেকাতে সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
🔥 আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে—এই কৌশলগত প্রস্তুতি কি শুধুই প্রতিরক্ষা, না কি একটি বড় আকারের সামরিক সংঘাতের পূর্বলক্ষণ? আমেরিকা কি মধ্যপ্রাচ্যের নতুন যুদ্ধ অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে?
ইরান ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাদের আণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানো হলে জবাব আরও মারাত্মক হবে। অন্যদিকে, ইজরায়েল বারবার জানিয়ে এসেছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে এবং প্রয়োজনে একতরফা অভিযানেও পিছপা হবে না।
🧭 উপসংহার
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, এবং চীনের ভূরাজনৈতিক প্রভাব—এই পরিপ্রেক্ষিতে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত ও আমেরিকার প্রস্তুতি এক নতুন উদ্বেগের বার্তা বয়ে আনছে।
প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে কি সত্যিই আরও একটি যুদ্ধের ছায়া ঘনিয়ে আসছে?
নাকি এটি কৌশলগত চাপের খেলা? পরবর্তী কিছু সপ্তাহ হয়তো এর জবাব দেবে।