নিজস্ব প্রতিবেদন | মুর্শিদাবাদ:
দারিদ্র্য, পারিবারিক দুর্দশা, মা-বাবার অকালমৃত্যু—সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখার সাহস থাকলে কোনো বাধাই আপনাকে থামাতে পারে না। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার তেনাউড়ি গ্রামের সোহেল আল মামুন রাজ্য প্রশাসনিক পরিষেবায় (WBCS) সাফল্য অর্জন করে গোটা জেলা তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
সোহেলের যখন মাত্র ছ’মাস বয়স, তখনই হারান মাকে। এরপর ঠাকুমা রূপবান বেওয়ার কোলেই বড় হয়ে ওঠেন। শৈশব থেকেই জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু। পরে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনায় মন দেন। বাবাও দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভুগে বছর চারেক আগে প্রয়াত হন। সেই থেকে সংসারে নেমে আসে অভাবের অন্ধকার। কিন্তু জীবনের প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে সোহেল আজ রাজ্যজুড়ে এক উদাহরণ।
তাঁর প্রাপ্ত র্যাঙ্ক – ১৩৫। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণের সাফল্য শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত জয় নয়, এটি প্রমাণ করে, প্রতিকূলতাকে জয় করে কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
সোহেলের সাফল্য আজ জেলার হাজারো পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের কাছে এক নতুন আশার আলো। নিজের গ্রাম, পরিবার, এমনকি গোটা রাজ্যবাসীর গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।